Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
রমাপতিপুরে গালিম শাহ এর মাজার
label.image.title
প্রতিষ্ঠানের ধরণ
মাজার
প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম
মো: ইয়িাওর মিয়া
পদবি
ইমাম
মোবাইল
01712239424
ঠিকানা

জগন্নাথপুর থেকে শিবগঞ্জ হয়ে রমাপতিপুর


ইতিহাস

রমাপতিপুরে গোলাব শাহ এর মাজার

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রমাপতিপুর (মোজাহিদপুর) গ্রামে প্রায় ১৫০ বছর পুরোনো শাহ গালিম (রা.) মাজারের পাশে হাফিজিয়া মাদ্রাসা চায় এলাকাবাসী। মাজারের পবিত্রতা রক্ষায় গান বাজনা ইসলাম বিরোধী কাজ যেন না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা চান তারা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রমাপতিপুর (মোজাহিদপুর) গ্রামে হাওরে শাহ গালিম (রা.) এর মাজার রয়েছে। প্রায় ১৫০ বছর পুরোনো মাজারে উপজেলা সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য নারী পুরুষ মাজার জিয়ারত ও শিন্নী নিয়ে আসেন। ১৯৯৯ সাল থেকে এখানে উরসের নামে অসামাজিক কর্মকান্ড চলছিল জানান গ্রামের মানুষ। প্রায় ৪ বছর ধরে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে উরুসের আয়োজন করতে পারে নাই এই মাজারের খাদেম। দীর্ঘ দিন ধরে মাজারের খাদেম ওরসের নামে গান বাজনা, জোয়া, মদ ও গাঁজার আসরে আয়োজন করতেন বলে জানান এলাকাবাসী। মাজারে খাদেম হওয়ায় আছলম উদ্দিন এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। তাদের অভিযোগ মাজারের দান বস্কে টাকা খাদেম নিজ হাতে খরচ করতেন। মোতায়াল্লি বা গ্রামবাসীর কাছে হিসাব দিতেন না। এমনকি মাজার উন্নয়নে কোন টাকা করচ করেন নাই।
গ্রামবাসী জানান, শাহ গালিম (রা.) পবিত্র মাজারে দীর্ঘ দিন ধরে উরুসের নামে পোষ্টার ছাপিয়ে রাতের বেলা চলতো ইসলাম বিরোধী কাজ। মহিলাদের দিয়ে নাচ গানের আয়োজন করা হত। তাদের প্রতিরোধে প্রায় ৪ বছর ধরে এখানে উরুসের আয়োজন করতে পারে নাই। পরে এলাকাবাসী মিলে মাজারে পাশে হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান আসলাম উদ্দিন। বার বার চেষ্টা করার পর এলাকাবাসী মিলে মাজের পাশে থাকা ঘরটি ভেঙ্গে ফেলেন। এখানে তারা হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করবেন।
মাজারে আসা ভক্তবৃন্দদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শাহ গালিম (রা.) পবিত্র মাজার এখানে তারা বিভিন্ন মান্নত নিয়ে আসেন ও মাজার জিয়ারত করেন। তাদের সকলের দাবি মাজারের পাশে যদি হাফিজিয়া মাদ্রাসা হয়, মাজারে থাকা শাহ গালিম (রা.) সহ আশে পাশের সকল কবরের বাসিন্দরা সোয়াবে ভাগিদার হবেন।
এ ব্যাপারে জানতে মাজারের খাদেম আছলম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ১৬ বছর ধরে এই মাজারে তিনি উরুসের আয়োজন করেছেন। গ্রামবাসী বাঁধা মুখে প্রায় ৪ বছর ধরে উরুসের আয়োজন করতে পারে নাই। তিনি এলাকাবাসী ও গ্রামবাসী অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এখানে গান বাজনা, জোয়া, মদ ও গাঁজার আসর হত না। তিনি আরো জানান, গ্রামবাসী মাজারের পাশের ঘর ভাঙ্গার পর জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মাজারের যুগ্ম মোতাওয়াল্লী শাহ্ মো. ইয়াওর মিয়া জানান, তাঁর পূর্ব পুরুষের জমি এটা। এই জমিকে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ কার্যালয়ের মাধ্যমে শাহ গালিম (রা.) মাজারের নামে দান করে দিয়েছি। যাহার নং ই,সি, নং ১৬৭৬৫। এখন এলাকাবাসীর দাবি এখানে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রষ্ঠিতা করা হবে। আমি ও তাদের সাথে একমত এখানে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা হউক।
মাজারের ঘর ভাঙ্গা নিয়ে মামলা হয়েছে কিনা জানতে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাজারের পাশে ঘর ভাঙ্গা নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসছে।